
এলাকায় ক্লিন ইমেজ : এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ইমেজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিএনপির শীর্ষনেতারা জানিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি, দখল কিংবা অন্য কোনো অভিযোগ নেই, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাবেন।
এলাকায় জনপ্রিয়তা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সারা দেশের নির্বাচনি আসনের ওপর একাধিক জরিপ চালানো হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই জরিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে। কিন্তু জনপ্রিয়তা মনোনয়নপ্রাপ্তির একমাত্র মাপকাঠি হবে না।
দেশ ও দলের জন্য ত্যাগ : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিগত ১৭ বছর যারা সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন; যেসব পরিবারের সদস্যরা বিগত স্বৈরশাসনে জীবন দিয়েছেন কিংবা গুম হয়েছেন, বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে তা হবে যোগ্যতার অন্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে।
সংগঠনের জন্য অবদান : বিগত ১৭ বছর যারা সংগঠনকে আগলে রেখেছেন। দলীয় কর্মীদের পাশে থেকেছেন, সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
দলীয় কোন্দল থেকে মুক্ত : যেসব মনোনয়নপ্রত্যাশী দলে কোন্দলে জড়াননি, এলাকায় গ্রুপিং করেননি, তাদেরও মনোনয়ন প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বিএনপির নীতিনির্ধারকরা ইতোমধ্যে এই পাঁচটি মূল্যায়নের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। তবে কিছু কিছু আসনে সমযোগ্যতার একাধিক প্রার্থী থাকলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

পাঠকের মতামত